স্ব-রমন ও আধখাওয়া চাঁদ
- কবির মুক্তাদির ০৬-০৫-২০২৪

অতৃপ্ত স্ব-রমন শেষে যখন শূন্য বারান্দায় এসে দাঁড়াই,
অস্থির পায়চারি করি বারান্দার এপাশ থেকে ওপাশে,
মনে হয় এইমাত্র আধাসিদ্ধ আধচাউলা ভাত চাবিয়ে এলাম,
যখন দেহের কেষে কোষে তুমুল ক্ষুধার হুলস্থুল,
তখন শালা আধখাওয়া চাঁদ ঠোঁট কেলিয়ে ডাকে;
বলে,"অনিমেষ,সদ্য ডাগর নাগর আমার,
তখন যে তোমাকে এতো করে ডাকলাম,
তবু আমার দিকে একবার ফিরেও তাকালে না,
এখন কেন এতো ছটফট করো নাগর!''


মনে হয় শালার আধখাওয়া আলোকিত
গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দিই আচ্ছামতো,
মনে হয় শালার অপর আধখাওয়া আঁধারে ঢাকা
ভূুতুড়ে টুটি দুহাতে চেপে ধরার পর--
শালাকে মুখে পুরে কড়মড় করে চাবিয়ে খাই।


বেজন্মা কুকুরগুলোও অজাতের শ্যাষ!
এই ক্ষয়ে আসা শেষরাতেও যেন ওরা
রতিক্রিয়ার ব্যস্ততার মতো ব্যতিব্যস্ত
অনবরত ঘেউঘেউ ঘেউঘেউ স্বরে ডাকতে,
মনে হয় বেজন্মাগুলোকে ছোবলা পিটা করে
খেদিয়ে শহর ছাড়া করে আসি এখনই।


মানুষ পাগল ঠাওরাবে এই লজ্জায় যাই না কুকুর খেদাতে,
শালা কুকুরগুলোকে গালি দিতে দিতে
ঘরে এসে শুয়ে পড়ি কন্টকের বিছানায়,
পৃথিবীর আলো বাতাস দেখতে ব্যর্থ হওয়া
আমার আত্মজগুলোকে যে সদ্য পানিচাপা দিয়ে পিছনে ফেলে রেখে এসেছি পিচাশের মতো,
আমি বেমালুম ভুলে যাই সে কথা।



০৬/১০/১৫

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।